ঢাকা ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
বাংলা সিলেট ডেস্ক: মুক্তিপণ না পেয়ে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের অপহৃত নিরাপত্তা প্রহরী সিরাজ ফকিরকে হত্যার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা একটি চক্রের সদস্য বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তারা হলো– সাজাহান আলী ও তার কথিত স্ত্রী তন্নি মল্লিক মিম। এ ঘটনায় আশিক হোসেন নামে আরেক যুবককে আটক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার সাজাহান আলী ও মিম রহিমপুর এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। এ বাসা ঘিরেই গড়ে উঠেছে চক্রটির ব্যবসা। তারা সহজ সরল মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করত। তাদের অপহরণ করে টাকা, ফোন, দামি জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মুক্তিপণ আদায় করত। এভাবেই সিরাজ ফকির তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। প্রথমে চক্রটি তাঁকে প্রকল্পে লোক নেওয়া হবে বলে টোপ ফেলে তারা। এর পর বিভিন্নজনের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে আনতে বলে। এর জন্য তাঁকে কমিশন দেওয়া হবে বলেও জানায়। পরে এক নারীকে দিয়ে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ডেকে আনে তাঁকে। ওই নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছেলের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না পেয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। গত ১ সেপ্টেম্বর সিরাজ ফকিরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে সিরাজ ফকিরের সন্তানের সঙ্গে কথা বলে মুক্তিপণের বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। ব্যাপক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চক্রটির নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের চিত্র। এই চক্রে সাজাহান, মিম, রুমা, আশিকসহ বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্ততা আছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পর মিম ও রুমা স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ-সংক্রান্ত অডিও ক্লিপও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরেক ব্যবসায়ীর ছেলেকে অপহরণের পরিকল্পনাও ছিল তাদের।
মিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাজাহান ও মিম স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রহিমপুরে ভাড়া থাকলেও তাদের বিয়ে হয়নি। তারা দু’জনসহ ৬-৭ জনের একটি চক্র লোভনীয় ফাঁদ পেতে এ ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে বলে ধারণা তাদের।
সম্পাদকীয় কার্যালয় : আছমান ম্যানশন, কদমতলী সিলেট। নিউজ : ০১৬-৪২৫০৫৪৬৬
Design and developed by DHAKA-HOST-BD