১০ বছর পর আদালতের নির্দেশে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা রেকর্ড

প্রকাশিত: ৪:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

১০ বছর পর আদালতের নির্দেশে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক যুবককে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় প্রায় ১০বছর পর আদালতের নির্দেশনার পর মামলা রেকর্ড করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। ১০ই সেপ্টেম্বর সিলেটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে উক্ত মামলা করেন,গোলাপগঞ্জ পৌর রণকেলী উত্তর এলাকার মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে ‘সেলিম হাসান কাওছার’। ২০১৫ সালের ১৫ জুলাইর ঘটনায় আওয়ামীলীগের সাত জনের নামে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২দিনের মধ্যে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে। ১৩ই সেপ্টেম্বর রাতে থানা পুলিশ মামলাটি রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে। মামলা নম্বর ০৯।

মামলার আসামীরা হলেন, ১। গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৌঘরী গীর্দ গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে সাবেক আওয়ামীলীগ ও পুলিশের দালাল ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহতদের খুনের মামলার আসামী আব্দুল আহাদ@নুর মিয়া (৫৫), ২। গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের ঘোগারকুল গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে যুবলীগের কুখ্যাত সন্ত্রাসী একাধিক খুনের মামলার আসামী লাভু আহমদ (৪০), ৩। গোলাপগঞ্জ ফুলবাড়ী গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে পৌর আ.লীগের সহ সভাপতি ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহতদের খুনের মামলার আসামী ছাদেক আহমদ (৬০), ৪। গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলের বড় ভাই ও জেলা পরিষদের সদস্য,দাড়িপাতন গ্রামের মৃত নুর মিয়ার ছেলে আ.লীগ নেতা, ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহতদের খুনের মামলার আসামী মো. ফয়জুল ইসলাম ফয়ছল (৫৭), ৫। গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর আ.লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহতদের খুনের মামলার আসামী এম ফজলুল আলম (৪৮), ৬। সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা ও সিলেট এয়ারপোর্ট থানার লাখাউড়া গ্রামের ফকির মিয়ার ছেলে ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহতদের খুনের মামলার আসামী রুবেল আহমদ (৩৫), ৭। বাঘা মাজরমহল্লার মৃত হাবিদ আলীর ছেলে বাহা উদ্দিন (৫০) ও ৮। উপজেলার আনছার মহল্লার শফিক উদ্দিনের ছেলে দুলাল আহমদ (৪২)।

মামলার এজাহারে বলা হয় ২০১৫ সালে রাত অনুমান ১টায় সময় গোলাপগঞ্জ পৌর চৌমুহনীতে ১নম্বর আসামী আহাদের নির্দেশে ২নম্বর আসামী লাভু গুলি করে রাস্তায় ফেলার পর অন্যান্য আসামীরা হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর যখম করে। পরে স্থানীয়রা ওই যুবককে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করান। তখনকার সময় আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। এ ঘটনায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরে অনেক অভিযোগ দিয়েও বাদী কোন বিচার পাননি।
গোলাপগঞ্জে ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের ঘটনায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় উল্লেখিত মামলার আসামীরাও রয়েছেন।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ সমডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর আবু নাসেরের সাথে আলাপ করা হলে তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।