গোলাপগঞ্জের আহাদকে গ্রেফতার করতে সেনাবাহিনী,র‌্যাবসহ এসপির কাছে অভিযোগ দাখিল

প্রকাশিত: ১০:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

গোলাপগঞ্জের আহাদকে গ্রেফতার করতে সেনাবাহিনী,র‌্যাবসহ এসপির কাছে অভিযোগ দাখিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে সানি ‘হত্যা’ মামলার ৬নং আসামী আব্দুল আহাদ উরফে নুরকে গ্রেফতার করতে সেনাবাহিনী,র‌্যাব-৯ ও সিলেটের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছেলে হারানো পিতা। আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আইনশৃংলা বাহিনীর কাছে এসব লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন নিহত সানির পিতা গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউপির কুমারপাড়া শিলঘাট গ্রামের মোঃ কয়ছর আহমদ (৫৫)। অভিযুক্ত ‘আহাদ’ গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপির চৌঘরী গীর্দ গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।

নিহত সানির পিতা কয়ছর অভিযোগে উল্লেখ করেন, গোলাপগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহত ‘সানির’ পিতা হই। আহাদ সশস্ত্র নির্যাতনকারী, খুনি, আইন অমান্যকারী ও ছাত্রজনতার খুনি এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের চিহ্নিত দালাল বটে। ০২/০৯/২০২৪ ইং সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ আদালতে অভিযুক্ত ৬নং আসামী আব্দুল আহাদ সহ আওয়ামীলীগ ও পুলিশ ৫১জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি পিটিশন মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে রুজু (এফআইআর) করার নির্দেশ দিলে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ ১১/০৯/২০২৪ইং মামলাটি এফআইর করেন। যাহার মামলা নং-৬ ।

উপরোক্ত আসামী আব্দুল আহাদ উরফে নুর মিয়াকে মামলায় আসামী করার পর থেকে আমার পরিবার ও স্বজনদের ক্ষতি এবং আমাকে প্রাণে হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রজনতার হত্যাকান্ডের মামলায় ভরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার দায়ের করা মামলায় আসামীর তালিকায় গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশও থাকার কারণে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ আমাকে সহযোগীতা না করিয়া মামলা প্রত্যাহার করার জন্য উল্টো ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। পাশাপাশি আদালতে মামলা করতে যারা আমাকে সহযোগীতা করেছিলেন,তাদেরও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য ০৪/০৮/২০২৪ইং বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে অভিযুক্ত ৬নং আসামী আব্দুল আহাদ উরফে নুর মিয়া আইনশৃঙ্খলাকারী বাহিনীর সদস্য পুলিশ, বিজিবি ও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বোচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ৪আগষ্ট সকাল থেকে ০৫/০৮/২০২৪ইং দুপুর পর্যন্ত উল্লেখিত আসামীদের তথ্য ও পরোচনা দিয়ে
আমার ছেলে সানিসহ ৬জনকে গুলি করে হত্যা করতে সহযোগীতা করে। আমার মামলার এজাহারনামীয় আসামীদের গুলিতে আমার ছেলে ‘সানি’সহ ৬টি তাজা প্রাণ ঝরে এবং শতাধিক লোক গুলিবৃদ্ধ হন। এসব ঘটনায় হত্যা ও হত্যার চেষ্টার একাধিক মামলা হয়। আমার মামলার পাশাপশি হত্যা সহ অনেক মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আহাদের নাম রয়েছে।

এদিকে দুপুর ১২টায় অভিযুক্ত আহাদের বিরুদ্ধে নিহতের পিতা ও স্বজনরা সিলেট র‌্যাব-৯ এর দায়িত্বশীল অফিসারদের কাছে মৌখিক বক্তব্য দেওয়ার পর,লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এবং বেলা ৩টায় সিলেট সেনা ক্যাম্পে একি ভাবে মৌখিক বক্তব্য দেওয়ার পর,লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
দুপুর ২টায় নিহতের পিতা ও স্বজনরা সিলেটের নব-নিযুক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সাথে সাক্ষাত করেন। সময় পুলিশ সুপার জানান,কোন অপরাধিকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং আহাদের বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। পুলিশ সুপার বলেন,পুলিশ সহ কেউ যদি মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়,ভয় না পেয়ে হুমকিদাতাদের বলবেন আসামী করেন,সমস্যা নেই।