দলিল জালিয়াতি মামলায় গোলাপগঞ্জের দুই সহোদরসহ তিনজন কারাগারে

প্রকাশিত: ১১:০৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪

দলিল জালিয়াতি মামলায় গোলাপগঞ্জের দুই সহোদরসহ তিনজন কারাগারে

বাংলা সিলেট ডেস্ক: সিলেটে দলিল জালিয়াতি মামলায় দুই সহোদরসহ তিনজকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারা সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক আবিদা সুলতানা মলি তাদেরকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া তিনজন হচ্ছেন- সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের মৃত আতাউর রহমান ওরফে মিয়া ঠাকুরের ছেলে দিলাল আহমদ (৫১) ও হিলাল আহমদ (৪৮) এবং একই গ্রামের মৃত ছবারক আলীর ছেলে মো. আখলাছ মিয়া। মৃত ব্যক্তিকে জীবিত সাজিয়ে দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রি করে ভূমি আত্মসাত প্রচেষ্টার মামলায় তাদেরকে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে এ মামলার চতুর্থ আসামি দলিল লেখক নকুল রঞ্জন দে পলাতক রয়েছেন।

জানা গেছে, সিলেটের গোলাগঞ্জ উপজেলার হাতিমনগর মৌজার এস এ খতিয়ান ৬১০ ও এসএ খতিয়ান ৫৯৬ এর ৬৮ ও ৬৯ দাগের ভূমির উত্তাধিকারী সূত্রে মালিক ছিলেন গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জ উত্তর মাইজগ্রামের (মোল্লাপাড়ার) নজির আহমদ সেলিম ও ফয়েজ আহমদ।
নজির আহমদ সেলিম ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর একমাস পর একই সনের ৬ ফেব্রুয়ারি মৃত নজির আহমদ সেলিমকে জীবিত ও দাতা সাজিয়ে দিলাল আহমদ ও হিলাল আহমদ তাদের অনুকুলে ঢাকাদক্ষিণ সাবরেজিস্ট্র অফিসে একটি জাল দান দলিল (নং-৫৬১/২০১৮) করে নেয়।

এ ঘটনায় মৃত নজির আহমদ সেলিমের ছেলে মো. জুম্মান আহমদ মিলাদ ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ২য় আদালত (গোলাপগঞ্জ)-এ একটি সি.আর মামলা (নং-৩৪৩/২০২৩) করেন।

মামলায় দিলাল আহমদ ও হিলাল আহমদসহ ৪জনকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেট মামলাটি তদন্ত করে চারজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে।

মামলার প্রথম তিন আসামি দিলাল আহমদ, হিলাল আহমদ ও আখলাছ মিয়া বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবি শাহ মোহাম্মদ শরীফ ৩ অভিযুক্তকে জেলহাজতে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।