সিলেটে নারীকে বিয়ে করে পুলিশের এ.এস.আই’র ‘প্রতারণা’

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৪

সিলেটে নারীকে বিয়ে করে পুলিশের এ.এস.আই’র ‘প্রতারণা’

বাংলা সিলেট ডেস্ক: নেহার বেগম (৩০) নামে সিলেটের এক নারীকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়া এবং স্ত্রী যৌতুক না দেওয়ায় প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক এ.এস.আই-এর বিরুদ্ধে। মো. আবু নাঈম নামের ওই পুলিশ সদস্য চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলি মডেল থানায় কর্মরত। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার জয়নগর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
তার বিরুদ্ধে নেহার বেগম সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের ও কর্ণফুলি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ মার্চ আড়াই লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে এ.এস.আই আবু নাঈমের সঙ্গে চট্টগ্রামে কাজি অফিসে বিয়ে হয় নেহার বেগমের। বিয়ের আগে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। আবু নাঈমের একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি সহজ-সরল নেহারকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর নেহার জানতে পারেন- নাঈমের তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রী- সিলেটের লামাকাজি এলাকার বাসিন্দা পাখি বেগম নামের নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া তার আরও দুজন স্ত্রী রয়েছেন দুই জায়গায়। এর মধ্যে শিরিন আক্তার নামের স্ত্রী আবু নাঈমের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
নেহার বেগম মামলায় উল্লেখ করেন- বিয়ের পর বিভিন্ন সময় যৌতুক চেয়ে চেয়ে আড়াই লাখ টাকা তার কাছ থেকে নিয়ে নেন এ.এস.আই আবু নাঈম। পরবর্তীতে আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করলে তিনি দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন স্বামী। নির্যাতনের সময় নেহারকে নাঈম বলেন- টাকা না দিলে তিনি স্ত্রীকে ডিভোর্স দিনে। এরপর কর্মস্থলে গিয়ে তিনি আর নেহারের কোনো খোঁজ নেননি। ফোন বন্ধ পেয়ে একপর্যায়ে নেহার তার কর্মস্থলে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কয়েকবার চেষ্টার পর তার সাক্ষাৎ পেলেও স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেন। পরে বাধ্য হয়ে নেহার বেগম থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে এ.এস.আই আবু নাঈমের দুটি মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে দুটোই বন্ধ পাওয়া যায়।