ঢাকা ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
বাংলা সিলেট ডেস্ক: হবিগঞ্জের বাহুবলে ডাকাতি করতে গিয়ে মা-মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পরপরই দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট জেলার শাহপরান থানার চৌকিদীঘি গ্রামের আলমগীর হোসেনের পুত্র আমীর হোসেন, বাহুবল উপজেলার হাজীমাদাম গ্রামের টেনু মিয়ার পুত্র আব্দুল হান্নান ও একই উপজেলার ডুবাঐ এলাকার মহিব উল্লাহর পুত্র মনির মিয়া।
জানা যায়- ২০২১ সালের ১৮ মার্চ বুধবার দিবাগত রাতে বাহুবল উপজেলার দ্বিগাম্বর বাজারের কাছে একটি ভাড়া বাসার তৃতীয় তলায় খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন কাচামাল ব্যবসায়ী সনজিত দাসের স্ত্রী অঞ্জলি দাস (৩০) ও তাঁর মেয়ে পূজা রানী দাস (৮)। মধ্যরাতে একদল ডাকাত ডাকাতির উদ্যোশ্যে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ডাকাতদের ছিনে ফেলায় মা মেয়েকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করে স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
সকালে নিজ ঘরে তাদের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনার পর অঞ্জলি দাসের স্বামী সনজিত বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্তের পর বাহুবল থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রজিৎ কুমার দাস ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট উল্লেখিত ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় ২০ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে ৩ জনের ফাসির আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট হাবিবুর রহমান খান জানান- আদালতের রায়ে ন্যায় বিচার পেয়েছে সনজিত দাসের পরিবার। তিনি বলেন- আমরা চাই দ্রুত যেন এ রায় কার্যকর করা হয়। আর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানান আসামী পক্ষের আইনজীবিসহ তাদের স্বজনরা।
সম্পাদকীয় কার্যালয় : আছমান ম্যানশন, কদমতলী সিলেট। নিউজ : ০১৬-৪২৫০৫৪৬৬
Design and developed by DHAKA-HOST-BD