গুলিবিদ্ধ জহুরের অভিযোগ মামলা নিয়ে বাণিজ্য ও হয়রানি করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ৪:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২৪

গুলিবিদ্ধ জহুরের অভিযোগ মামলা নিয়ে বাণিজ্য ও হয়রানি করা হচ্ছে

বাংলা সিলেট ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত যুবক মো. জহুর আলী (৩০) অভিযোগ করে বলেছেন, মামলার নামে নিরীহ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে। অনেকেই এটা নিয়ে কোটি টাকা কামিয়েছেন, কিন্তু তারা আহত হয়েও কিছু জানেন না, এবং সবার শত্রু হচ্ছে। তিনি মামলা বাণিজ্য ও নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরে গুলিবিদ্ধ হন জহুর আলী।

আহতের ঘটনায় হওয়া এ মামলাকে কেন্দ্র করে আসামি ধরা ও ছাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে এমন অভিযোগ করেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জহুর আলী।

ঘটনার প্রায় এক মাস পর আহতের বড় ভাই হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। যে মামলায় কারাগারে ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও সাবেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিকসহ অনেকে। তবে ইতিমধ্যে মান্নান ও মানিকসহ অনেকেই জামিনে রয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হওয়ায় যে মামলা করা হয়েছে সেই মামলায় আসামি ধরা ও ছাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থী যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরে গুলিবিদ্ধ হই। পুলিশ বাঁ পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এর এক মাস পর সাংবাদিক মাসুম হেলাল মামলার কথা বলেন।

জহুর আলী জানান, তারা তখন মাসুম হেলালকে বলেছিলেন- যেহেতু পুলিশ তাকে গুলি করেছে তাই পুলিশের বিরুদ্ধে এই মামলা করবেন। পরে দেখা যায়- মামলায় ৯৯ জন আসামির নাম, অজ্ঞাত আরও আসামি ২০০ জন। মামলার সময় মাসুম হেলাল ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বলেন, একজন তাকে চিকিৎসার জন্য দিয়েছেন।

মো. জহুর আলী এখন রাজধানীতে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) আছেন। এই মামলা নিয়ে মহাবিপদে আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমারে গুলি করছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করব। কিন্তু পরে দেখি মাসুম হেলাল সবাইরে মামলায় ঢুকাইয়া দিছে। এই মামলা নিয়া এখন ব্যবসা শুরু হইছে। সে (সাংবাদিক মাসুম হেলাল) কোটি টাকা নিছে। শুনছি সে এখন কানাডা চইলা যাইব। টাকা নিয়ে জেলে ঢুকায়, বের করে। মামলায় যারার নাম নাই তারারে পুলিশ ধরে বেশি। লোকজন বলে— আমরা টাকা নিচ্ছি। এটা মিথ্যা। আমরা কোনো টাকা পাই নাই। আমরা গরিব মানুষ। এখন আমরা পড়ছি মহাবিপদে। সোমবার কোর্ট থেকে আমার ভাইরে তুলে নেওয়া হইছে।’

নিমিষেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জহুর আলীর লাইভের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জহুর আলী বলেন, ‘আমি সোমবার সুনামগঞ্জে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর সবাই বলছে মামলা করে কত টাকা আয় করলাম। এসব শুনে লজ্জা লাগে। গুলি খাইলাম, এখনো হাসপাতালে আছি। চাকরি গেছে।’