বিয়ের ৬ বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম

প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

বিয়ের ৬ বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম

বাংলা সিলেট ডেস্ক: বিয়ের ৬ বছর পর একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অননা মদক। খুশির বন্যা বইছে অননা মদকের পরিবারে। তবে সন্তানদের লালন পালন নিয়ে দুশচিন্তায় পরিবারটি।

গত ২০ অক্টোবর বগুড়া শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অপারেশনের মাধ্যমে ৪টি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন গৃহবধূ অননা মদক। অননা মদক ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দক্ষিণ পাড়িয়া গ্রামের চা দোকানদার রতন মদকের স্ত্রী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চা, মিষ্টির দোকানদার রতন মদকের স্ত্রী অননা মদক ৪টি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। দরিদ্র পরিবারে ৪টি সন্তান একসঙ্গে জন্ম নেওয়ার কারণে খুশি হলেও সন্তানদের লালন পালনের চিন্তায় পরিবারটি। একটি দোলনা কিনেছেন। তবে সেখানে ৩টি সন্তান রাখলেও একটি সন্তানকে কোলে রাখতে হয়েছে। ৪টি সন্তানকে খাওয়ানো হয় কেনা দুধ, যা একেটির দাম প্রায় দেড় হাজার টাকা।

বগুড়ায় ২৮ দিন থাকার পরে ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় আসেন রতন মদক। ৪ সন্তান জন্মের খবর শুনে তাদের দেখতে ছুটে আসছে প্রতিবেশীসহ অন্য এলাকার লোকজন।

স্থানীয় সুশীল রায়, রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, রতন মদক চা বিক্রি করে অনেক কষ্টে সংসার চালায়। একসঙ্গে ৪ সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে। রতন মদককে উপজেলা প্রশাসনসহ বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

রতন মদকের বাবা মহেন মদক বলেন, সৃষ্টিকর্তা ভালো বোঝেন। তিনি ৪ সন্তান দিয়েছেন, এখানে কিছু বলার নেই। তিনি দিয়েছেন আমাদের লালন পালন করতে হবে। ৪ সন্তানকে সামলাতে একটু কঠিন হবে। তবে উপজেলা প্রশাসন বা সমাজের বিত্তবানরা যদি পাশে দাঁড়াত তাহলে হয়তো অনেক উপকার হতো।

রতন মদকের মা সিপরা মদক ও শাশুড়ি অনিতা ঘোষ জানান, সন্তানদের জন্মের পর থেকে তাদের যত্ন নিতে সহযোগিতা করেন তারা। ৪ সন্তান যখন একসঙ্গে ক্ষুধার কারণে কান্নাকাটি করে তখন তাদের সামলানোর জন্য লাগে ৪ জন লোক

রতন মদক বলেন, চায়ের দোকান করেই সংসার চালাই। স্ত্রী সন্তানের যত্ন ও সিজারসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ধার দেনা করে খরচ করে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। তাই উপজেলা প্রশাসনসহ বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার দেবনাথ জানান, রতন মদকের যদি কোনো ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তাহলে উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করবে।