সিলেটে হত্যা মামলায় দুই ছেলে ও বাবার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ৮:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

সিলেটে হত্যা মামলায় দুই ছেলে ও বাবার মৃত্যুদণ্ড

বাংলা সিলেট ডেস্ক: সিলেটের বালাগঞ্জে যুবক হাসান মিয়া হত্যা মামলায় দুই ছেলে ও বাবার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সিলেট জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন। একই রায়ে প্রত্যেক আসামীকে আরও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার হাসামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মবশ্বিরের ছেলে আব্দুস সবুর পুতুল, তার ছেলে ফাহাদ আহমদ রাহী ও আব্দুল মোমিন রনি। আসামীদের মধ্যে আব্দুস সবুর পুতুল কারাগারে থাকলেও তার দুই ছেলে পলাতক রয়েছেন।

এর আগে, ২০১৮ সালের ২২ মে রাতে উপজেলার হাসামপুর হাফিজিয়া মাদরাসার নিজ মালিকানা হাসান ফার্মেসি অ্যান্ড ভেরাইটিজ স্টোরে হাসান মিয়া (২৮) ছুরিকাঘাতে নিহত হন। নিহত হাসান মিয়া হাসামপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হোসাইন আহমদ সাহান (২৪) বাদী হয়ে ২৩ মে বালাগঞ্জ থানায় ৪ জনের নামোল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও ২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, হাসামপুর বায়তুননুর জামে মসজিদে তারাবির নামাজের পর মুসল্লিদের মধ্যে লিচুর জুস সরবরাহ করতেন হাসান মিয়া। সরবরাহকৃত জুসের মূল্য পরিশোধ করতেন মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ফারুক মিয়া। হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার রাত ১০টা ১০ মিনিটে ফারুক মিয়া লিচুর জুসের মূল্য বাবদ ২৫০০ টাকাসহ অগ্রিম আরও ২৫০০ টাকা বিবাদী রাহীর মাধ্যমে হাসানের কাছে পাঠান। কিছুক্ষণ পর রাহী লিচুর জুস সরবরাহ করা লাগবে না বলে টাকা ফেরত নিতে আসে। কিন্তু টাকা ফেরত নিতে ফারুক মিয়াকে ফোন করতে বলে ব্যবসায়ী হাসান। তখন রাহি গালিগালাজ করে। রাহীর পক্ষ নিয়ে অন্য আসামিরাও কিলঘুষি মারে। একপর্যায়ে রাহি তার হাতে থাকা ছোরা দিয়ে হাসানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হোসাইন আহমদ সাহান (২৪) বাদী হয়ে ২৩ মে বালাগঞ্জ থানায় ৪ জনের নামোল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও ২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে মামলাটি পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ দাস তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১১ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।