বাংলা সিলেট ডেস্ক: দাফনের চার মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রাকিবুল ইসলাম বুলেটের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের নির্দেশে কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মং চেনলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাকিবুল ইসলাম বুলেট উপজেলার মহিষকান্দি গ্রামের দিনমজুর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদারের ছেলে।

জানা গেছে, রাকিবুল ঢাকার চানখারপুল এলাকার একটি প্লাস্টিক কোম্পানিতে কাজ করতেন। সরকার পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তখন দুপুরে ঢাকার চানখারপুল এলাকায় গুলিতে রাকিবুল ইসলাম বুলেট গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে তাকে ড. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার বাবা গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার চকবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার বাদী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ৫ আগস্ট ঢাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাকিবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। বৈষম্য-বিরোধী ছাত্রদের সহায়তায় রাকিবুলের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। রাতেই মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই ঢাকা থেকে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

রাকিবুলের মেঝ ভাই মো. রাহাত বলেন, আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। পরে রাত ৮টার দিকে আবার মরদেহ বাড়িতে দিয়ে গেছে। এরপর তাকে দাফন করা হয়েছে।

কাঁঠালিয়া থানার ওসি মং চেনলা বলেন, ডিএমপির চকবাজার থানার মামলায় আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।