ঢাকা ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
বাংলা সিলেট ডেস্ক: সিলেটের বিশ্বনাথে মাদরাসা পড়ুয়া কিশোরী মেয়ে (১৭) কে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের মান্দারুকা গ্রামের এক হত-দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ও স্থানীয় এক মাদরাসার শিক্ষার্থী। এঘটনায় কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। থানায় মামলা দায়েরের পরপরই থানা পুলিশের একটি দল সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সৈয়দ মান্দারুকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ক্বারী মো. সেলিম মিয়া (৪২) নামে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে। সে ওসমানীনগর উপজেলার সৈয়দ মান্দারুকা গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। ধর্ষক ৩ সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও ধর্ষিতার পরিবার জানায়, বিশ্বনাথ উপজেলার মান্দারুকা গ্রামের দরিদ্র এক পরিবারের কিশোরী মেয়ে স্থানীয় একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করে আসছে। রমজান মাসে দারুল ক্বেরাত শিক্ষা কেন্দ্রে কোরআন শিক্ষা নিতে স্থানীয় মসজিদে ওই কিশোরী ভর্তি হয়। এতে দারুল ক্বেরাত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ক্বারী সেলিম মিয়ার সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। গেল বুধবার (১৬ এপ্রিল) ওই কিশোরী বাড়ি থেকে মাদসারায় যাওয়ার পথিমধ্যে ওই শিক্ষক তাকে জোর করে সিএনজি চালিত অটোরিক্সসায় তুলে নিয়ে যান। পরে সিলেট শহরের একটি বাসায় নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষিণ করেন। ধর্ষিতা কিশোরী বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের অবহিত করে। এরপর ধর্ষক ধর্ষিতার চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে বিষয়টি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে শেষ করতে চায়। কিন্তু ধর্ষিতার চাচাত ভাই এ বিষয়টি স্থানীয় এক মুরব্বীকে অবহিত করেন। পরে ওই মুরব্বীসহ ধষির্তার পরিবার থানায় পুলিশ ঘটনাটি জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদকীয় কার্যালয় : আছমান ম্যানশন, কদমতলী সিলেট। নিউজ : ০১৬-৪২৫০৫৪৬৬
Design and developed by DHAKA-HOST-BD