ঢাকা ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
বাংলা সিলেট ডেস্ক:
সিলেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে গড়ে উঠতে যাচ্ছে নতুন আরেকটি বিসিক শিল্পনগরী। নতুন এই বিসিকে পিছিয়ে পড়া সিলেটের উদ্যোক্তারা দেখছেন নতুন সম্ভাবনা। জায়গা নির্ধারণের জটিলতা কাটিয়ে এবার আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে নতুন বিসিক নির্মাণ প্রকল্প। নতুন বিসিক স্থাপিত হলে এটি হবে সিলেটের তৃতীয় শিল্প নগরী। আর নতুন শিল্প নগরীতে তিনশতাধিক কারখানা গড়ে ওঠার পাশাপাশি অন্তত ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সিলেটে নতুন একটি শিল্পপার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন। এই চিঠির প্রেক্ষিতে সিলেটে নতুন একটি বিসিক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই লক্ষ্যে ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয় জায়গা নির্ধারণের কাজ। কিন্তু শিল্পপার্ক স্থাপনের জন্য সুবিধাজনক স্থানে একসাথে শতাধিক একর জায়গা পেতে বেগ পেতে হয় সংশ্লিষ্টদের। জায়গা না পাওয়ায় ঝুলে যায় প্রকল্পটি।
দীর্ঘদিন ধরে জায়গার সংস্থান না হওয়ায় নতুন বিসিক গড়ে তোলার উদ্যোগটি নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। অবশেষে গতবছর বিসিক সিলেটের উপ-মহাব্যবস্থাপক ম. সুহেল হাওলাদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সম্ভাব্য স্থান হিসেবে দক্ষিণ সুরমার তেতলী, পারাইরচক ও জৈন্তাপুরের দরবস্তে কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে পারাইরচক এলাকাকে চুড়ান্তভাবে বেছে নেওয়া হয়।
বিসিকের জন্য ১০০-১৫০ একর জায়গার প্রয়োজন হলেও সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেট-জকিগঞ্জ বাইপাস সড়কের পাশে পারাইরচকে পাওয়া যায় প্রায় দুইশত একর জায়গা। বিসিকের পক্ষ থেকে ওই জায়গার মৌজা ও তফশিলের কাগজপত্র এবং বিএস ও আরএস ম্যাপ তৈরি করে জমা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। সর্বশেষ জেলা প্রশাসক সম্মেলনেও সিলেটে নতুন বিসিক শিল্পনগরী স্থাপন প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা হয়।
ফলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকেও প্রকল্পটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি), ক্ষতিপূরণের হিসাব ও অধিগ্রহণকৃত ভূমির মূল্য সংক্রান্ত কাগজপত্র বিসিক চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানোর কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, পারাইরচকে যে জায়গায় বিসিক গড়ে তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সেই জায়গার মৌজা মূল্য প্রায় ৬০-৭০ কোটি টাকা। অধিগ্রহণ করতে ভূমি মালিকদের পরিশোধ করতে হবে মৌজা মূল্যের তিনগুণ টাকা। এছাড়া স্থাপনা থাকলে সেগুলোর জন্যও দিতে হবে আলাদা টাকা।
বিসিক সূত্র জানায়, বর্তমানে সিলেট নগরীর গোটাটিকর ও খাদিমে দুটি শিল্পপার্ক (বিসিক শিল্পনগরী) চালু রয়েছে। দুটি মিলে ১৫০টি প্লট রয়েছে। নতুন বিসিক হলে এটিতে তিনশতাধিক প্লট রাখা সম্ভব হবে। এছাড়া মোট জায়গার ২০ ভাগ রাখা হবে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট, ফায়ার সার্ভিস, জলাধার ও অন্যান্য সেবাধর্মী কাজের জন্য।
বিসিক সিলেট অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক ম. সুহেল হাওলাদার জানান, সিলেটে ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে নতুন বিসিক গড়ে তোলার বিকল্প নেই। নতুন বিসিক গড়ে ওঠলে এখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবেন। এতে নতুন উদ্যোক্তাও তৈরি হবেন।
সম্পাদকীয় কার্যালয় : আছমান ম্যানশন, কদমতলী সিলেট। নিউজ : ০১৬-৪২৫০৫৪৬৬
Design and developed by DHAKA-HOST-BD