ওসমানী এয়ারপোর্টে লাগেজে সাড়ে ১৭ কেজি স্বর্ণ, ছাড়ল কাস্টমস, ধরল নিরাপত্তাকর্মী

প্রকাশিত: ১:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২৫

ওসমানী এয়ারপোর্টে লাগেজে সাড়ে ১৭ কেজি স্বর্ণ, ছাড়ল কাস্টমস, ধরল নিরাপত্তাকর্মী

বাংলা সিলেট ডেস্ক: সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা দুই যাত্রীর লাগেজে পাওয়া স্বর্ণের চালান নিয়ে চলছে জল্পনা। কাস্টমসের তল্লাশি ফাঁকি দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ১৭ কেজি স্বর্ণ নিয়ে গ্রিন চ্যানেল পারও হয়ে গিয়েছিলেন দুই যাত্রী। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় দ্বিতীয় দফা তল্লাশিতে ধরা পড়ে এই চালান।

এ ঘটনায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের স্ক্যানিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুল্ক গোয়েন্দারা আঁতাত করে স্বর্ণের চালান পার করেছেন বলে অভিযোগ উঠলে তা মানতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা। প্রায়ই কৌশলে বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ণের চালান নিয়ে যায় কারবারিরা। মাঝেমধ্যে ধরা পড়লেও মূল হোতার নাগাল পায় না কাস্টমস বিভাগ। গতকাল লাগেজ স্ক্যানিং শেষে কনকর্স হলে যাওয়ার পর জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআই দুই যাত্রীকে আটক করার পর বেরিয়ে আসে স্বর্ণের চালান।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে দুবাইয়ের শারজাহ থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট (বিজি-২৫২) ওসমানী বিমানবন্দরে নামে। বড়লেখার সৈয়দ আহমদ ও জৈন্তাপুরের আফতাব উদ্দিন তাদের লাগেজ স্ক্যান করে গ্রিন চ্যানেল পার হয়ে কনকর্স হলে চলে যান। বের হওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় এনএসআই সদস্যরা তাদের আটকে দেন। পরে তাদের লাগেজ আবার স্ক্যানিং মেশিনে নিয়ে যান কাস্টমস কর্মকর্তারা। একাধিকবার স্ক্যান করার পরও স্বর্ণ থাকার বিষয়টি ধরা পড়েনি। এ বিষয়ে এনএসআইর এক সদস্য জানান, তাদের কাছে তথ্য ছিল, ওই দুই যাত্রীর কাছে স্বর্ণের চালান রয়েছে। সে জন্য তারা চ্যালেঞ্জ করে যাত্রীদের লাগেজ খোলেন। তিনি জানান, দুই যাত্রী শুধুই বাহক। চালানের পেছনে অন্যরা রয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে সিলেটের কাস্টমস কমিশনার তাসনিমুর রহমান জানান, দুই যাত্রীর লাগেজ খুলে ফ্যান ও চার্জার লাইটের ভেতরে পাওয়া যায় ১২০টি স্বর্ণের বার ও চারটি গোলাকার স্বর্ণপিণ্ড। উদ্ধার করা স্বর্ণের ওজন প্রায় সাড়ে ১৭ কেজি। যার বাজারমূল্য ২১ কোটি টাকা। সন্ধ্যায় আটক দুই যাত্রীকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ইনজামাম উল হক জানান, ধাতুর প্রলেপ দিয়ে স্বর্ণ নিয়ে আসা হয়েছিল। অনেক সময়
তা স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়ে না। কারবারিরা নিত্যনতুন কৌশলে চালান নিয়ে আসছে। কাস্টমসের লোকজন সবসময় তৎপর। সেখানে কোনো গাফলতি হয় না।

বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ জানান, স্ক্যানিংয়ে দুই যাত্রীর কাছে স্বর্ণ থাকার বিষয়টি ধরা পড়েনি। বিশেষ কৌশলে তারা তা বহন করে। গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য থাকায় তাদের কাছ থেকে এ চালান উদ্ধার করা গেছে।