সিলেটে কয়েক ঘন্টায় বজ্রপাতে ১১ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

সিলেটে কয়েক ঘন্টায় বজ্রপাতে ১১ জনের প্রাণহানি

বাংলা সিলেট ডেস্ক: শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর), এই ২৪ ঘণ্টা সিলেটের জন্য ছিলো দুঃসংবাদের। এ সময়ে বিভাগে ১১টি দুর্ঘটনায় ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। এর মধ্যে পাঁচজন বজ্রপাতে, তিনজন পানিতে পড়ে, একজন ট্রেনে কাটা পড়ে ও একজন স্ত্রীর মৃত্যুতে শোকে মারা গেছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন একজন ও আহত হয়েছেন ৪ জন।

জৈন্তাপুরে বজ্রপাতে দুজনের প্রাণহানি :
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার নয়াগ্রাম আগফৌদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ (১৭) ও ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৫)।

এর মধ্যে আব্দুল মান্নান মাঠে কাজ করছিলেন। এসময় দুপর সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রাঘাতে মাঠেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে, নাহিদ বাড়ির পাশেই একটি স্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় বজ্রপাত তার উপরে পড়লে তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান।

এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া।

কানাইঘাটে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু:
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বজ্রপাতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

জানা যায়, কানাইঘাটজুড়ে শনিবার দুপুর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও মৃধু বাতাসের সাথে প্রচন্ড বজ্রপাত হতে থাকে। বিকেল ৪টার দিকে বজ্রবৃষ্টির সময় কানাইঘাট পৌরসভার উত্তর দলইরমাটি (খেলুরবন্দ) গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে নুর উদ্দীন (৬০)-সহ আরও কয়েকজন গ্রামের একটি জায়গায় মাছ ধরতে যান।

এসময় প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত হয় এবং এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে নুর উদ্দীন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বজ্রপাতে নুর উদ্দীনের সাথে থাকা আরও ৪ জন জলসে গিয়ে আহত হলে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অপরদিকে, উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কেউঠি হাওর গ্রামের জমশেদ আলীর ছেলে কালা মিয়া বিকেল ৫টার দিকে গ্রামের একটি ক্ষেতে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করার সময় বজ্রঘাতে ঘটনাস্থলেই মরা যান।বিষয়টি সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার।

গোয়াইনঘাট:
গোয়াইনঘাটে বজ্রপাতে মারা গেছেন গৃহবধূর রোকশানা বেগম (৪৭)। শনিবার দুপুরে নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। জাফলং ইউনিয়নের ভিত্রিখেল হাওর গ্রামের আ. রাজ্জাকের স্ত্রী তিনি।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবারকে দাফন-কাফন ও আনুষঙ্গিক খরচ নির্বাহের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে অগ্রীম সরকারি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ :

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে নেজামুল হক (২১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের পুটামারা (পশ্চিম পাড়া) গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নেজামুল পুটামারা গ্রামের সুরফান মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুর ২টার দিকে নেজামুল বাড়ির পাশের হালছাবড়া হাওর থেকে হাঁস নিয়ে বাড়িতে আসার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এসময় সে গুরুতর আহত হয়। আসেপাশে থাকা অন্য লোকজন থাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও ইউনিয়ন বিট অফিসার মনজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

দক্ষিণ সুরমায় শিশুর লাশ উদ্ধার :
মামার পেছন পেছন মাছ ধরতে গিয়েছিলো ভাগ্নে। কিন্তু সে জানতো না, তাকে ফিরতে হবে লাশ হয়ে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নিখোঁজের পরদিন এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে উপজেলার রশিদপুরে একটি বিলের পানিতে পড়ে মারা গেছে। মো. তাহমিদ হোসেন তান্না (১০) নামের ওই শিশুর বাড়ি দক্ষিণ সুনামগঞ্জে। দক্ষিণ সুরমার রশিদপুর ও নাজিরবাজারের মধ্যবর্তী কুতুবপুরে একটি বাসায় মামা ও নানির সঙ্গে থাকতো। তার বাবা নেই। বাবার নাম মৃত শাহরিয়ার হোসেন। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে করে ভারতের কলকাতায় পড়ি জামিয়েছেন।

তাহমিদ স্থানীয় একটি মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলো।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাহমিদের মামা রশিদপুরের পার্শ্ববর্তী বিলে মাছ ধরতে যান। কিছুক্ষণ পর তাহমিদ নানির কাছে বায়না ধরে, সেও মামার কাছে গিয়ে মাছ ধরবে। পরে সে মামার কাছে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলেও সাঁতার না জানার কারণে পথিমধ্যে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে বিকালে ও সন্ধ্যায় তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই বিলে তাহমিদের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।

খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানাপুলিশ ঘটনালে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন সিলেটভিউ-কে বলেন- শিশুটির মা দ্বিতীয় বিয়ে করে কলকাতায় থাকেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তিনি আসছেন। আসলে ময়না তদন্ত হবে কি না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। লাশ বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

দক্ষিণ সুরমায় চলন্ত মাইক্রোবাসের উপরে গাছ :
দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে চলন্ত মাইক্রোবাসের উপরে একটি বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে মাইক্রেবাসের ৪ যাত্রী আহত হয়েছেন।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সিলেটগামী মাইক্রোবাসের উপর গাছটি উপড়ে পড়ে।

এসময় দুদিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাছ কেটে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হোসেন সিলেটভিউ-কে বলেন- দুর্ঘটনায় ৪ জন সামান্য আহত হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ভর্তি হতে হয়নি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস টিম গাছ কেটে সরিয়ে যাত্রী ও গাড়ি উদ্ধার করেছে।

বিশ্বম্ভরপুরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু:
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বজ্রপাতে দ্বীন ইসলাম (৬৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দ্বীন ইসলাম চরপাড়া গ্রামের মৃত সুলুতু মিয়ার ছেলে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর চরপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, দ্বীন ইসলাম বাড়ির অদুরে একটা জমির পাশে মাঠে ধৈনচা (পাট শাক), মরিচ, লাকড়ি শুকাতে দেন। হঠাৎ করে বৃষ্টি পড়তে দেখে তিনি শুকাতে দেওয়া ধৈনচা ও মরিচ গোছানোর জন্য গেলে বজ্রপাতে মারা যান তিনি।

বজ্রপাতে কৃষক মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বম্ভপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কাওসার আলম।

কালনী নদীতে যুবক নিখোঁজ :
সুনামগঞ্জের শাল্লায় নৌকা থেকে পড়ে তামিম শেখ (২৫) নামের এক যুবক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দিবাগত-রাত সাড়ে নয়টায় সময় হাওয়া খেতে গিয়ে কালনী নদীর উপর নৌকা থেকে পানিতে পড়ে তলিয়ে যাওয়া তামিম শেখ উপজেলার শাল্লা গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে। তবে তলিয়ে যাওয়া তামিম শেখ মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্র ও পানিতে নিখোঁজ তামিম শেখের খালাতো ভাই তাফসির আলম চৌধুরীর বরাতে জানা যায়, গতরাতে (শুক্রবার) কারেন্ট না থাকায় আমাদের গ্রামের অনেক মানুষ প্রাকৃতিক আবহাওয়া লাগাতে কালনী নদীর উপর নৌকায় বসেছিলাম। রাত প্রায় সাড়ে ৯টায় সময় হঠাৎ খিচুঁনি উঠায় তামিম নৌকা থেকে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। সাথে সাথেই আমরা নদীতে ঝাঁপ দিলেও তাকে খুঁজে পাইনি।

এ ব্যাপারে শাল্লায় থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান মুঠোফোনে জানান, আমি ঘটনা শুনেছি তবে আমার বাবা মারা যাওয়ায় বাড়িতে চলে এসেছি। আপডেট বিষয়টা তদন্ত অফিসার জানতে পারবে বলে জানান তিনি।

শাল্লা থানার তদন্ত অফিসার আহমদ হোসেন জানান, পানিতে তলিয়ে যাওয়া মানুষটার লাশ অনেক খোঁজাখুঁজি করে উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয় নি।

এ বিষয়ে শাল্লা ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বশীল লিডার জয়ন্ত সিংহ বলেন, গতরাত ১ টায় সময় আমাকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু শাল্লা স্টেশনে কোন ডুবুরি দল নাই। ডুবুরি দল থাকে সুনামগঞ্জ। যদি উনারা বলত তাহলে আমি সুনামগঞ্জ থেকে ডুবুরি দলের ব্যবস্থা করতাম। তবে যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে আমাদের এখান থেকে আজমিরিগঞ্জ পাশে। প্রয়োজনে অল্প সময়ের মধ্যে হবিগঞ্জের ডুবুরি দল এসে কাজ করতে সুবিধাজনক হবে।

লাশ উদ্ধারে আসা হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি ইউনিটের লিডার ফখরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমরা ৭ জন ডুবুরি আজ দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত আধা কিলোমিটার জায়গা খোঁজাখুঁজি করেও লাশ পাইনি। নদীতে প্রচুর স্রোত থাকায় লাশ উদ্ধার করা কঠিন। হয়তবা আজ কালের মধ্যে লাশ ভেসে উঠতে পারে।

কুলাউড়ায় রেললাইন থেকে লাশ উদ্ধার:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের হোসেনপুর এলাকার রেললাইন থেকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম। তিনি স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, শুক্রবার রাতে কোনো একসময় ট্রেনে কাটা পড়েন ওই ব্যক্তি। এতে পুরো শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

চেয়ারম্যান আরও জানান, শনিবার সকালে রেললাইনের পাশে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে সিলেট রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে।

কুলাউড়ায় স্ত্রীর মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বামীর মৃত্যু :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অসুস্থ স্ত্রী মারা যাওয়ার একদিন পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অসুস্থ স্বামী সর্বজন সুপরিচিত জাতীয় পার্টির নেতা মো. মবশ্বির আলী। দুজনই দীর্ঘদিন যাবৎ দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামী মবশ্বির আলী কুলাউড়ার চৌধুরী বাজারের নিজ বাড়িতে এবং তার স্ত্রী রাজনগর উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে তার স্ত্রী রাজনগর উপজেলার পাঠানটুলায় শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে জানাজা শেষ করে বিকেলে তার কনিষ্ঠ ভাই হারুনুর রশিদের মৌলভীবাজারস্থ বাসায় চলে যান তিনি।

সেখানে থাকা অবস্থায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি নিজেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাদের উভয়ের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মবশ্বির আলী জীবিত অবস্থায় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

মবশ্বির আলীর ভাই হারুনুর রশিদ জানান, মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার চৌধুরী বাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

হবিগঞ্জে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল দুই বোনের:
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের নোয়াগও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুরা হল ওই গ্রামের সোহাগ মিয়ার শিশু কন্যা সুষি আক্তার (৫) ও তার বোনের মেয়ে বর্ষা আক্তার (৪)।

স্থানীয়রা জানান, সুষি ও বর্ষা নামে ওই দুই শিশু সকলের অগোচরে বর্ষার পানিতে বাড়িরের পাশে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে তারা পানিতে ডুবে তলিয়ে যায়। পরে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও স্থানীয় লোকজন তাদের সন্ধ্যান পাননি। এক পর্যায়ে মরদেহ ভেসে উঠলে তাৎক্ষণিক তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্যকমপেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মঞ্জুরুল আহসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) অরনজিত দাস বলেন, একসাথে দুই বোনের ।মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।